আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের গ্রেফতারে অভিযান জোরদারের সিদ্ধান্ত।
আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের নানা অপতৎপরতার কারণে গ্রেফতার অভিযান আরও জোরদার করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় (এলজিইডি) উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
রোববার (১৫ ডিসেম্বর) আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন এলজিইডি উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ।
রোববার (১৫ ডিসেম্বর) আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন এলজিইডি উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ।
ঢাকা মহানগর ডেস্কঃদৈনিক আমাদের দেশের খবর।
রোববার (১৫ ডিসেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির সভা শেষে এ তথ্য জানান তিনি। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী সভায় সভাপতিত্ব করেন।
এলজিইডি উপদেষ্টা বলেন, ‘সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন এবং সামনে যে ইভেন্টগুলো আছে, সেগুলো যাতে সুষ্ঠুভাবে ও শৃঙ্খলা বজায় রেখে শেষ করা যায়, সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আশা করি সামনের ইভেন্টগুলো খুব শান্তিপূর্ণভাবে করা যাবে।তিনি বলেন। কয়েক দিন ধরে কিছু অ্যাকটিভিটি লক্ষ করছি। তার ভিত্তিতে সারা দেশে গ্রেফতার অভিযান আরও জোরদারের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এর ফলাফল হয়তো শিগগিরই দেখতে পাবেন।এর আগে এক ফেসবুক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে কর্মসূচি ঘোষণা করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।আরও পড়ুন: শেষ রাতে পুলিশি টহল বাড়াতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার নির্দেশ
এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের যারা বাইরে আছেন, তারা এখনও নানাভাবে ভিন্ন ধরনের গোষ্ঠীকে উসকে দেয়ার চেষ্টা করছেন, ফান্ডিং করছেন এবং মিছিল করার চেষ্টা করছেন। গতকালও কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা দেশকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত, তাদের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে এবং সুস্পষ্ট অভিযোগও রয়েছে, তাদের গ্রেফতার করা হবে।’তিনি আরও বলেন, ‘আমরা দেখেছি যে তারা (আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ) আগামীকাল কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। এর আগে বিভিন্ন সময় কর্মসূচি ঘোষণা করলেও সেগুলো বাস্তবায়িত হয়নি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এ বিষয়ে সতর্ক রয়েছে।’নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের ফিরে আসা প্রসঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের এ উপদেষ্টা বলেন, ‘গতকাল যে ছবি পেয়েছি, তার সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন রয়ে গেছে। আমাদের গোয়েন্দা সংস্থা থেকে তথ্য এসেছে, এটি পুরানো ছবি অথবা সেখানে যে ‘ছাত্রলীগ’ লেখা ছিল তা এডিট করা হয়েছে।’এক প্রশ্নের জবাবে আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ যে কোনো সময় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারে, সেই আশঙ্কা রয়েছে, যতক্ষণ-না তারা পুরোপুরি এলিমিনেটেড (নিশ্চিহ্ন) হয়।