সেনাবাহিনী ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ সীমান্ত ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার দৃঢ় বন্ধন,
কর্নেল মোহাম্মদ শরীফুল ইসলাম, পিএসসি। দৈনিক আমাদের দেশের খবর।
প্রকাশ : ২০ ডিসেম্বর ২০২৪,
সেনাবাহিনী ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ সীমান্ত ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার দৃঢ় বন্ধন
বাংলাদেশের সীমান্তরেখা, যা তিন দিকে ভারত বা এবং এক দিকে মিয়ানমারকে ছুঁয়ে অঅস নৈঃশব্দ্য ভেঙে এগিয়ে চলেছে, আসলে কেবল মানচিত্রের চৌহদ্দি নয়। এটি স্বাধীনতার এক দর্ঘ কাব্যময় রেখাচিত্র, যেখানে জাতীয় সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তার সুরম্য স্তন্ত দাঁড়িয়ে আছে। এই সীমান্ত সুরক্ষা শুধু কাঁটাতারের প্রতিরোধ নয়, বরং রাষ্ট্রের ডিভিমূলকে অটুট রাখার অনলশিখা। সেই ভারী দায়িত্ব কাঁধে নিয়ে যুগ যুগ ধরে দাঁড়িয়ে আছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। তাদের পারস্পরিক সৌহার্দ এক জটিল রণকৌশলের অন্তর্নিহিত সুর, যা আইনি কাঠামো, ইতিহাস, ঐতিহ্য আর আত্মত্যাগের অপূর্ব মিশেল।
GN news দৈনিক আমাদের দেশের খবর। নিউজ মাহমুদ হাসান স্বাধীন অনুসন্ধানের টিম।
১৭৯৫ সালে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সূচনালগ্নে রামগড় লোকাল ব্যাটালিয়ন নামে যে ছোট্ট সশস্ত্র দলটি পূর্ব বাংলার পাহাড়ি সীমান্ত পাহারা দিতে নেমেছিল, ভা ভা ছিল এ অঞ্চলে সামরিক পরবর্তীকালে নানা পর্যায়ে রূপান্তরিত হয়ে আজকের বিজিবি। ফ্রন্টিয়ার গার্ডস, বেঙ্গল মিলিটারি পুলিশ, ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলস। ইপিআর) এবং বাংলাদেশ রাইফেলস (বিডিআর) নাম বদলেছে, কিন্তু। কর্তব্যের মূলস্রোত রয়ে গেছে অপরিবর্তনীয়। ব্রিটিশ আমলে সীমান্ত রক্ষায় অদম্য সাহস প্রদর্শন করা এই পূর্বসূরি বাহিন গুলো ভারতীয় সেনাবাহিনীর সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে যুদ্ধ করেছিল প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে। এই যৌথ যুদ্ধের মধ্য দিয়েই শুরু হয়েছিল সেনাবাহিনীর ওপর তাদের নির্ভরশীলতার দৃঢ় বুনন। বেঙ্গল মিলিটারি পুলিশ নামে পরিচিত
ঐতিহাসিক ইউনিট বিশ্বযুদ্ধের রণাঙ্গনে ভারতীয় সেনাবাহিনীর অংশ হয়ে মেসোপটেমিয়া ও আফগানিস্তানে যুদ্ধ করেছে। সৈনারা তখন ব্রিটিশ সামরিক কাঠামোর অধীনে সামনের সারিতে দাঁড়িয়ে বিপৎসংকুল অভিযান সম্পন্ন করেছে, যেখানে সেনাবাহিনীর কৌশল, সরাসরি নির্দেশনা ও প্রশিক্ষণ ছিল পথনির্দেশক। তাদের বীরত্বের স্মারক হিসেবে ‘আবর মেডেল’, ‘অর্ডার অফ ব্রিটিশ ইন্ডিয়া’, ‘ইন্ডিয়ান অর্ডার অফ মেরিট’-এর মতো পদকে ভূষিত করা হয়। এগুলো নিছক পদক নয়, বরং সেনাবামিনীর অনুপ্রেরণায়, কৌশলগত ছত্রছায়ায় এবং যৌথ কমান্ডের নির্দেশনায় অর্জিত গৌরবের স্মারক। এভাবে পুরোনো ঐতিহ্যের গোড়াপত্তন থেকেই সেনাবাহিনী ও বিজিবির পূর্বসূরিদের সম্পর্ক জোরালোভাবে প্রোথিত হয়েছিল।