খুলনায় কনকনে শীতে কষ্টে খেটে খাওয়া মানুষ,/দৈনিক আমাদের দেশের খবর, নিউজ, শেখ শহিদুল ইসলাম মিঠু ব্যূরো প্রধান খুলনা, শীতে অবস্থা কাহিল সারাদিন তেমন সূর্যের মুখ দেখাই যাচ্ছে না, কিন্তু পেট তো বাঁচাতে হবে, তাই ভোরে দোকান খুলেছি তবে ঠান্ডার কারণে কাস্টমার আসছে না, সেজন্য বেচাকেনা কম, খুলনা ফুলতলার শীতের ঘাট খন্দকার মুরাদ, ইসলামের কথায় জেলার নিম্নবিত্ত মানুষের বর্তমানে চিত্রই ফুটে উঠেছে, খুলনায় গত কয়েকদিন সূর্যের দেখা মেলেনি, জেলায় তাপমাত্রা ছিল ১২ দশমিক 8 ডিগ্রি সেলসিয়াস, ফলে জেলায় কনকনে শীত অনুভূতি হচ্ছে, চার পাস ডেকে যায় গণ কুয়াশায় প্রয়োজনে নির্ণয়ের মানুষের ঘরে বসে থাকার সুযোগ নেই জীবিকার তাগিদে তীব্র শীতেও কাজের সন্ধানে বের হচ্ছেন শ্রমজীবীরা, সকালে ফুলতলা রেলস্টেশন ফুলতলা বাজার পথের বাজার স্ট্যান্ড গেট নোয়াপাড়া বাজার মোড়ে
ঝুড়ি কোদাল হাতে কাজের অপেক্ষায় দিনমজুর শ্রমিকদের দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে, তাদের অনেকের পর্যাপ্ত গরম কাপড় নেই, শীত থেকে বাঁচতে অনেকে পুরনো সোয়েটার চাদর মাথায় টুপি মাফলার পায়ে মোজা পরেছেন, জেলার উপকূলীয় এলাকাগুলোতে ঘন কুয়াশা সঙ্গে বইছে ঠান্ডা বাতাস, তাপমাত্রা কমার চেয়েও হিমেল বাতাসের কারণে খেটে খাওয়া লোকদের বেশি অসুবিধা হচ্ছে, খেয়াঘাটের মাঝি সালাম মিয়া বলেন খুব কম লোক সকালে থেকে খেয়া,পাড়া পাড় করেছেন, সকাল থেকেই ঘন কুয়াশা পড়ছে, রুদ্র বের হয়নি, এখানে প্রচন্ড শীত পড়েছে, তবে এই শীতেও আমার বাসায় বসে থাকার সুযোগ নেই কাজ না করলে খাওয়াবে কে, সৈয়দ ইবাদুল ইসলাম বলেন, নদী তীরবর্তী গ্রামে বাতাস এত বেশি, কনকনে ঠান্ডার ঘরের বাইরে কোথাও থাকা যাচ্ছে না, গবাদি পশু নিয়ে মাঠেও যেতে পারছি না, খুব ভোরে কুয়াশা এত বেশি থাকে যে পথ চলতেই ভয় লাগে, তীব্র শীতে রেল স্টেশনের ও ফুটপাত গুলোতে ছিন্নমূল মানুষের কম্বল মুড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে, কেউ কেউ চটের বস্তা গায়ে জড়িয়েছেন, ঠান্ডা থেকে বাঁচতে কাগজ, পলিথিন ও সেরা কাপড় জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন, শীতে তীব্রতা বাড়ায় সঙ্গে সঙ্গে গরম কাপড় হাত পায়ের মোজা টুপি মাফলার জ্যাকেটের চাহিদা বেড়েছে, এদিকে শীতে তীব্রতার কারণে ঠান্ডা জনিত নানা রোগের প্রকোপ বেড়েছে হাসপাতাল ক্লিনিক ডাক্তারদের চেম্বারে রোগীদের ভিড় বেড়েছে, বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধরা ঠান্ডা কাশিতে আক্রান্ত হচ্ছেন, পায় গ্রাম কসবা রহমানিয়া এমব্রয়ডারি স্কুল এন্ড কলেজ শিক্ষিকা বলেন তীব্র শীতে শিশুরা জ্বর সর্দি কাশিতে আক্রান্ত হচ্ছে, অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের বাইরে বের হতে দিচ্ছেন না, ফলে স্কুলগুলোতে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কমে গেছে, খুলনা আবহাওয়া অফিসের সহকারি আবহাওয়াবিদ মিজানুর রহমান বলেন, খুলনা বিভাগের মধ্য যশোর চুয়াডাঙ্গা খুলনা বাগেরহাট এর তাপমাত্রা ১১ থেকে ১০ ডিগ্রির মধ্য উঠানামা করছে, আকাশ মেঘলা থাকায় তাপমাত্রা একটু বাড়লেও বেশি শীত অনুভূতি হচ্ছে, আরো ও ২- ৩, দিন গণ কুয়াশা পড়বে সেই সঙ্গে শীতের প্রকোপ বাড়বে।