খুলনার কেসিসির সাবেক মেয়র খালেকের দুর্নীতি অনুসন্ধান দুদকের তদন্ত শুরু! শেখ শহিদুল ইসলাম মিঠু ব্যূরো প্রধান খুলনা! খুলনা সিটি কর্পোরেশনের (কে সি সি) অপসারিত মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেকের অনিয়ম ও দুর্নীতি উদ্ঘাটনে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন ( দুদক), গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে তারা আনুষ্ঠানিকভাবে কাজ শুরু করেছে, তালুকদার খালেক, তার স্ত্রী হাবিবুন নাহার ও সহযোগীদের তথ্য চেয়ে (কেসিসি,) আয়কর বিভাগ সহ বিভিন্ন সংস্থায় চিঠি দেওয়া হয়েছে, দুদক থেকে জানা গেছে, গত ২৪ ডিসেম্বর তালুকদার আব্দুল খালেকের দুর্নীতি তদন্তের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, গত ২১ জানুয়ারি দুদকের খুলনার উপ পরিচালক আব্দুল ওয়াহিদুদকে প্রধান করে অনুসন্ধান টিম গঠন করে দুদক, গত বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) থেকে তারা আনুষ্ঠানিকভাবে কাজ শুরু করেছে, দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় খুলনার উপপরিচালক আব্দুল ওয়াদুদ জানান, প্রথম কার্যালয় থেকে বৃহস্পতিবার আমরা চিঠি পেয়েছি এবং বৃহস্পতিবারই অনুসন্ধান শুরু করেছি, প্রাথমিক অনুসন্ধানে দেখা গেছে, সাবেক মেয়রের দুর্নীতি অনুসন্ধানের জন্য তার সহযোগীদের তথ্য প্রয়োজন, এজন্য তার ব্যবসায়িক অংশীদার হিসেবে পরিচিত ঠিকাদারদের তথ্য চেয়ে কেসিসিতে ও চিঠি দেওয়া হয়েছে, এছাড়া মেয়র হয়ে রামপালের মংলার জন্য কেসিসির গাড়ি ব্যবহার, নর্থ ওয়েস্টার্ন ইউনিভারসিটির ইউনিভারসিটির অর্থ আত্মসাৎ এর বিষয়টি খুঁজে বের করতে চিঠি দেওয়া হয়েছে, দুদক থেকে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার তালুকদার খালেক ও তার স্ত্রী হাবিবুন নাহারের আয়কর রিটার্ন কর নির্ধারণী আদেশসহ সংক্ষিপ্ত রেকর্ড পত্রে চাপালিপি যে খুলনা কর অঞ্চলের উপকর কমিশনার সার্কেল ০৩ এর কাছ থেকে চিঠি দেন, অনুসন্ধান টিমের প্রধান আব্দুল ওয়াদুদ, পাশাপাশি কেসিসির প্রশাসকের কাছে চিঠি দিয়ে মেসার্স হোসেন ট্রেডার্স, কাজল এন্টারপ্রাইজ ও আজাদ ইঞ্জিনিযাসের ঠিকাদারি কাজের যাবতীয় তথ্য, এইচ এম সেলিমের প্রতিটি কাজ ও পরিষদিত বিলের পরিমাণ, খালিশপুর ১৮ নম্বর রোড উন্নয়ন সংক্রান্ত কাজের দরপত্র সংক্রান্ত সব রেকর্ড এবং মেয়র হিসেবে দায়িত্বকালীন সময়ে গাড়ির লক বই চাওয়া হয়েছে, দুদকের সহকারি পরিচালক ও অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা রকিবুল ইসলাম বলেন, নর্থ ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটিতেও বড় ধরনের অনিয়ম হয়েছে প্রাথমিক তথ্য পাওয়া গেছে, বিস্তারিত অনুসন্ধান চলছে, গত ৫ আগস্ট এর পর থেকে তালুকদার আব্দুল খালেক আত্মগোপনে রয়েছেন, তার বিরুদ্ধে হত্যাশহ এক ডজন মামলা হয়েছে নগরী ও জেলার বিভিন্ন থানায়, আত্মগোপনে থাকায় তার বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি,