অস্ত্রের ঝনঝনানিতে নিতে কাঁপছে খুলনা উদ্বেগ সকল রাজনৈতিক দলের,শেখ শহিদুল ইসলাম মিঠু ব্যূরো প্রধান খুলনা,! অস্ত্রের ঝনঝনানিতে কাঁপছে খুলনার জনপদ, পুলিশ সহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা বাড়লেও প্রকৃত হত্যাকারী হত্যার ব্যবহূত অস্ত্র উদ্ধার করতে পারছে না ফলে নগরজুড়ে সাধারণ মানুষের মধ্য এখন চরম আতঙ্ক ও উদ্বেগ বিরাজ করছে, বিশেষ করে সন্ধ্যা নামলে অধিকাংশ মানুষ নগরীতে চলাফেরা করতে ভয় পাচ্ছেন, সর্বশেষ চার মাসে সংঘটিত ১২ হত্যাকাণ্ডের কুলকিনারা করতে পারেননি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী, নাগরিক নেতারা বলেছেন, বিগত দিনগুলোতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সুবিধাভোগী দের কারণে এই অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে, এসব ব্যক্তিদের খুলনার আইন-শৃঙ্খলা বিভাগ থেকে অপসারণ করতে হবে, খোঁজ নিয়ে জানা গেছে মহানগরীর খুলনা ও জেলায় হত্যা, ডাকাতি, ছিনতাই, মারামারি, চুরি, সহ অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড আশঙ্কা জনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে, শুধু গত ৪ মাসেই হত্যা ও একটি অস্ত্র উদ্ধার করতে পারেননি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী, সংঘটিত হত্যাকাণ্ডগুলো সঠিক কারণ ও প্রকৃত হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করতে পারেননি, হত্যাকাণ্ড গুলোর কারনও অনুসন্ধান করতে পারেননি আইন শৃঙ্খলা বাহিনী নগরীতে পুলিশের টহল ও তৎপরতা তেমন নেই বলে উদ্যোগ প্রকাশ করেছেন নগরবাসী, সব মিলিয়ে খুলনার সাধারণ মানুষের মধ্য এখন চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে, নগরীর ও জেলায় আইন শৃঙ্খলা চরম অবনতি ঘটেছে বলে অভিযোগ করেন সাধারণ মানুষ ও নাগরিক নেতারা, সর্বশেষ নগরীর সোনাডাঙ্গা থানার এলাকায় ২৫ জানুয়ারি রাত ৮ টার নগরীর তেতুলতলা মোড় এলাকায় একটি চা দোকানের সামনে কয়েকজন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অর্ণব সরকারকে গুলিও কুপিয়ে হত্যা করে( ২০ জানুয়ারি) নগরের সদর থানার ২০ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের নেতা মোঃ মানিক হাওলাদারকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র অর্ণব সরকার হত্যাকান্ডে (১ ফেব্রুয়ারি )১,জন সহ মোট ৪,জনকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ জন্য হেফাজতে নিয়েছে, কিন্তু পুলিশ এখনো হত্যাকাণ্ডের সঠিক কোন কারণ উদঘাটন করতে পারেননি, হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র ও উদ্ধার করা যায়নি, অপরদিকে ২০ জানুয়ারি বিকালে নগরীর সদর থানার,২১ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের নেতা মোঃ মানিক হাওলাদারের কে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা, একই দিন সন্ধ্যায় কমার্স কলেজের সামনে ছাত্রদল কর্মী নওফেলকে দাঁড়ালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে দুর্বৃত্তরা, সে ২৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি’র যুগ্ন আহবায়ক মহাবুবুর রহমান লিটনের পুত্র, নাগরিক নেতাদের অভিযোগ, খুলনা মহানগরীর আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে কেএমপি কমিশনারের বক্তৃতার কয়েক ঘন্টা পরেই নওফেল কে কুপিয়ে জখম করে দুর্বৃত্তরা, এর আগে নগরীর সদর থানার ২৭,নম্বর ওয়ার্ডের মিস্ত্রীপাড়া রসুলবাগ মসজিদের সামনে স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক শাহীন শেখ নামের এক যুবদল নেতাকে গুলি করে জখম করে দুর্বৃত্তরা, তার অবস্থার অবনতি ঘটায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়, একের পর এক সন্ত্রাসী হামলা হত্যাসহ কিশোর গ্যাং,এবং দৌরাত্ম্যের কারণে নগরবাসী, উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন, আর নাগরিক নেতারা বলেন খুলনায় আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নতি করতে পারছে না পুলিশ, মহানগরীসহ জেলার নয় উপজেলায় অপরাধ মূলক কর্মকাণ্ড আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে, ইতিপূর্বে বিএনপি সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সামাজিক সংগঠনগুলো যেমন এতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সামনে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা খুলনা আইন-শৃঙ্খলার চরম অবনতির অভিযোগ করেন, এ দিকে পুলিশ হত্যাকাণ্ডের সঠিক কারণ উদঘাটন করতে বা অস্ত্রধারীদের আটক করতে না পারলেও সাংবাদিকদের মাঝে কাল্পনিক কল্পকাহিনীর বর্ণনা দিতে পুলিশ ঠিকই পারছেন বলে নাগরিক নেতারা অভিযোগ করেন, যেমন অর্ণব হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনে তার বাবার ঠিকাদারি ব্যবসা, নারী সংশ্লিষ্ট বিষয়, সন্ত্রাসী গ্রুপের কোন সংশ্লিষ্টতা সহ নানা বিষয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে পুলিশ জানায়, তবে তার ও পরিবারের দাবি অর্ণব খুবই শান্তশিষ্ট ছেলে, বাম রাজনীতি বা সন্ত্রাসী গ্রুপের সাথে কোন সংশ্লিষ্টতা ছিল না, তাকে ২৫ জানুয়ারি বিকালে নগরীর ইসলাম কমিশনার মোড়ের বাসা থেকে বের হয় অর্ণব সরকার, তাকে রাত আটটার দিকেও তাকে বসু পাড়া এতিমখানা মোড়ে দেখা যায়, নিহত অর্ণব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ করে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় এমবিএ পড়ছিল, তিনি তার বাবা নীতিশ সরকারের ঠিকাদারি পেশায় ও সহযোগিতা করতেন, দুই ভাইয়ের মধ্যে অর্ণব বড়, তার কোন রাজনৈতিক বা সন্ত্রাসী সংশ্লিষ্টতা নেই,এ একটা কান্ডের পর দায়েরকৃত মামলার পর পুলিশ চারজনকে আটক করলেও প্রকৃত হত্যাকারীদের আটক করতে পারেননি গত চার মাসে ১২ খুনের ঘটনায় নাগরিক নেতাদের উদ্বেগ, তবে পুলিশের ডেপুটি কমিশনার মোঃ মনিরুজ্জামান মিঠু জানান যুবদল নেতা মানিক হাওলাদার, অর্ণব সহ অন্য সব হত্যাকাণ্ডের কারণ উদঘাটনে পুলিশ তৎপর রয়েছে বলে জানান, সকল হত্যাকাণ্ডে ঠিকাদারি ব্যবসা, নারী সংশ্লিষ, বিষয় সন্ত্রাসী গ্রুপের কোন সংশ্লিষ্টতা সহ নানা বিষয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে এই পুলিশ কর্মকর্তা জানান, তিনি বলেন নগরীর সব এলাকায় টহল সহ তদন্ত কর্মকাণ্ড অব্যাহত রয়েছে, এদিকে যুবদল ছাত্রদল, অর্ণব হত্যাকাণ্ড সহ খুলনায় গত চার মাসে বারোটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে, জানিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন নগরবাসী ও নাগরিক নেতারা, নাগরিক নেতারা জানান হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত বিদেশী পিতল সহ অত্যাধুনিক একটিও অস্ত্র পুলিশ উদ্ধার করতে পারেননি, ফলে নগরীতে অস্ত্রের ঝনঝনানিতে কাঁপছে খুলনাবাসী, নগরীতে পুলিশের টহল তেমন না থাকায় নগরবাসী এর নির্বিঘ্নে চলাচলে আতংঙ্কিত রয়েছেন,