৩৫ ঘন্টা পর লামায় ২৫ শ্রমিক উদ্ধার, পর্ব ২,
মোঃ মেহেরাজ উদ্দিন মিন্টু লামাঃ বান্দরবানের লামা উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের মুরুংঝিরি এলাকা থেকে পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের হাতে অপহৃত ২৫ শ্রমিকে মুক্তি দিলেন সন্ত্রাসীরা। সেক্ষেত্রে ৩৫ ঘন্টা পর লামায় অপহৃত ২৫ শ্রমিক উদ্ধার হয়।
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে সন্ত্রাসীদের হাত থেকে রাবার শ্রমিকরা মুক্তি পেয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন লামা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মঈন উদ্দিন। সূত্রে জানা যায়, সেনা-পুলিশ যৌথ অভিযানের একপর্যায়ে পাহড়ি অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী গ্রুপের হাতে জিম্মি থাকা ২৫ জন রাবার শ্রমিককে মুক্তি দেয়। মুক্তি পাওয়া শ্রমিকদের বেশ কয়েকজন গুরুতর অসুস্থ হওয়ায় লামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তবে তাদের পরিবারের কাছে সন্ত্রাসীরা মুক্তিপণ দাবি করলেও মুক্তিপণ হিসেবে তাদের পরিবারের পক্ষ থেকে কোন টাকা দেওয়া হয়েছে কিনা বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
সন্ত্রাসীদের হাতে জিম্মায় থেকে মুক্তি পাওয়া রাবার শ্রমিকরা হলেন, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নের ক্যংগার বিল এলাকার অধিবাসী মো. ফারুক, মো. আইয়ুব আলী, মো. ছিদ্দিক, মো. আব্দুল খালেক, আবদুল মাজেদ। উপজেলার আলিখ্যং এলাকার অধিবাসী মনিরুল ইসলাম, মোবারক, মো. হারুন, রমিজ উদ্দিন, ছৈয়দ নুর, মো. কায়সার, মো. মনির হোসেন, মো. ইমরান। কক্সবাজার জেলার ইদগড় ইউনিয়নের মঞ্জুর, আফসার আলী, খায়রুল আমিন, আবু বক্কর, মো. আবদুর রাজ্জাক ও মুবিন এছাড়াও বাকি আরও ৬ জন শ্রমিক মুক্তি পেয়েছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে লামা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মঈন উদ্দিন জানান, ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের মুরুংঝিরি থেকে সন্ত্রাসীদের হাতে অপহৃত আরও ২৫ শ্রমিকে মুক্তি দিয়েছেন সন্ত্রাসীরা তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন গুরুতর অসুস্থ হওয়ায় তাদেরকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য, গত ১৪ জানুয়ারি ও ১ ফেব্রুয়ারিতে একই উপজেলার সরই ইউপি থেকে দুই দফায় ১৪ জন শ্রমিককে অপহরণ করেছিল সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা। পরে যৌথ বাহিনীর অভিযানে অক্ষত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করা হয়। পরে রবিবার দুপুরে সশস্ত্র একদল সন্ত্রাসী অস্ত্রের মুখে ২৬ জন রাবার শ্রমিককে জিম্মি করে নিয়ে যায়। তাদের মধ্যে ১ শ্রমিক সন্ত্রাসীদের হাত থেকে সোমবার পালিয়ে আসে। পরে বাকি ২৫ জন শ্রমিককেও মুক্তি দেন সন্ত্রাসীরা।