কুয়েট অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা হল ছাড়ছেন শিক্ষার্থীরা,
(শেখ শহিদুল ইসলাম মিঠু ব্যূরো প্রধান খুলনা) নিউজ দৈনিক আমাদের দেশের খবর,
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) সিন্ডিকেট সভায় সব আবাসিক হল, অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণার পর হল ছাড়তে শুরু করেছে শিক্ষার্থীরা,
বুধবার ভোর থেকেই কুয়েতের দশটি হলের শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাস ছাড়তে শুরু করেন, তাদের বেশিরভাগই বাড়ির পথে রওনা হয়েছেন বলে জানা গেছে,
মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেটের ৯৯ তম জরুরী সভা থেকে সব আবাসিক হল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণার সিদ্ধান্ত আসে, বুধবার সকাল দশটার মধ্যে সব শিক্ষার্থীকে হল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়,
এর প্রতিবাদে মঙ্গলবার রাতে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করেন শিক্ষার্থীরা, তাদের ভাষ্য, আন্দোলন দমানো ভিন্ন খাতে প্রবাহিত এবং দীর্ঘায়িত
করার জন্য বিভিন্ন ধরনের চাপ চলছে, যারা ক্যাম্পাস ছাড়ছেন, তাদের মধ্য কয়েকজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রশাসন হল ছাড়ার নির্দেশের পর তারা আর নিরাপদ বোধ,করছেন না, সার্বিক নিরাপত্তার স্বার্থে তারা বাড়ি চলে যাচ্ছেন, তবে তাদের আশা, কুয়েটে যে সংকট চলছে অচিরেই তা কেটে গিয়ে পুনরায় ক্যাম্পাসে শিক্ষার পরিবেশ ফিরে আসবেন, এদিকে আবাসিক হল গুলোতে বেলা ১১ টার পর কিছু শিক্ষার্থীদের অবস্থান করতে দেখা গেছে, কোন ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে বুধবার সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে, ছাত্র রাজনীতি বন্ধের দাবি কে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংঘর্ষের ঘটনার এক সপ্তাহের মাথায় কুয়েট পুরোপুরি বন্ধের ঘোষণা আসে মঙ্গলবার, এর আগে ১৯ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের অপর এক সভায় শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নেতৃত্বের লক্ষ্যে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সব একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়,
এদিকে মঙ্গলবার দুপুরে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী, পদত্যাগের দাবিতে তার বাসভবনের আবারো তালা লাগাতে গিয়েছিলেন শিক্ষার্থীরা, পরে শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলার পর, তালা না লাগিয়ে সেখান থেকে ফিরে চান তারা, ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েটে ছাত্র রাজনীতি বন্ধের দাবিকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় অর্ধশতাধিক আহত হন, পরদিন প্রশাসনিক ভবন সহ সব একাডেমিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেন প্রার্থীরা, ঐদিন দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের সভায় কুয়েটে সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, সংঘর্ষের ওই ঘটনা তদন্তে কমিটিও গঠন করা হয়, ১৯ ফেব্রুয়ারি রাতে খান জাহান আলী থানায় অজ্ঞাত পরিচয় ৪০০ থেকে ৫০০ জনকে আসামি করে মামলা করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, সংঘর্ষের দিন পাঁচ জনকে আটক করে পুলিশে দেয় সেনাবাহিনী, তাঁদের প্রিয়জন ছেলে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল,
শুক্রবার তাদের মধ্য চারজনকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে, খান জাহান আলী থানার ওসি কবীর হোসেন জানান,
গত বৃহস্পতিবার ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ সমাবেশ করে সব রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠনকে লাল কার্ড দেখান, শিক্ষার্থীরা, একি সঙ্গে তারা উপাচার্যের পদত্যাগ দাবি করেন, রোববার শিক্ষার্থীরা খুলনা থেকে ঢাকায় গিয়ে প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি দেন, এতে হামলায় জড়িত ব্যক্তিদের বিচার, উপাচার্যের পদত্যাগ সহ ছয় দফা দাবি জানানো হয়,