ফুলতলার আলোচিত এখলাস হত্যামামলায় দুজনেরযাবজ্জীবন,
শেখ শহিদুল ইসলাম মিঠু ব্যূরো প্রধান খুলনা,!
খুলনার ফুলতলা উপজেলার দামোদর গ্রামের আলোচিত একলাস হত্যা মামলার ২ আসামীকে যাবজ্জীবন সশ্রম করা দণ্ড দিয়েছেন আদালত,
একই সাথে তাদের দুজনের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ও তিন মাসে বিনাশ্রম দেওয়া হয়েছে,এ মামলার অপর,৪ আসামির বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ অভিযোগ প্রমাণ করতে ব্যর্থ হওয়ায় তাদের বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত,
রোববার খুলনার অতিরিক্ত দায়রা ও জজ আদালত -৩ এর বিচারক আবীর পারভেজ এরাই ঘোষণা করেন, রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেন ওই আদালতের বেঞ্চ সহকারী মাহবুবুর রহমান,
সাজা প্রাপ্ত আসামিরা হলেন ফুলতলা উপজেলার দামোদর পশ্চিম পাড়া এলাকার আরিফ চৌধুরীর ছেলের আজিজুর চৌধুরী, এবং একই এলাকার সরদার পাড়ার আক্তার সরদারের ছেলে রুবেল সরদার,
আদালত সূত্রে জানা গেছে, দামোদর গ্রামের জৈনক আলাউদ্দিন চৌধুরীর সাথে নিহত এখলাসের ব্যবসায়িক দ্বন্দ্ব ছিল,এ ঘটনা নিয়ে প্রায় এখলাসকে হুমকি ধামকি দিতো, এমনকি মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আলাউদ্দিন তাকে হত্যার ভয়-ভীতি দিত, এর ই ধারাবাহিকতায় ২০১৪ সালের ২৫ মার্চ দিবাগত রাত সাড়ে ১২,টার দিকে এখলাস ও এলাকার চায়ের দোকানে জহির কাজীকে নিয়ে মোটরসাইকেল যোগে ফুলতলা বাজার হতে বাড়ি দামোদরের উদ্দেশ্য রওনা হয়, রাত ১,টার দিকে বাড়ির সামনে পৌঁছালে পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা আসামি আজিজুর চৌধুরী মোঃ হারুন খাঁ রুবেল সহ অজ্ঞাতনামা আরো ৫-৭ জন সন্ত্রাসী ধারালো অস্ত্র দিয়ে এখলাসের উপর অতর্কিত হামলা চালায়, এ সময়ে ভিকটিম মোটরসাইকেল রেখে দৌড় দিয়ে স্ত্রীকে ডাকাডাকি করতে থাকে এবং তাকে বাঁচানোর জন্য আকুতি জানাতে থাকে, তার চিৎকার শুনে ঘর থেকে স্ত্রী পুত্রসহ বাড়ির অনন্যরা এগিয়ে এলে আসামিরা পালিয়ে যায়,
সন্ত্রাসীদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আহত এখলাসকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ নেওয়া হয়, পরবর্তীতে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন,
এ ঘটনায় এখলাসের ভাই রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে তিনজন আসামীর নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরো ও,৪/৫ জনের বিরুদ্ধে ফুলতলা থানায় মামলা দায়ের করেন, যার নং ৪/২০১৫ সালের ১৫ এপ্রিল মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডি পুলিশ পরিদর্শক মোঃ শাহাবুদ্দিন চৌধুরী ৭,জন আসামির বিরুদ্ধে আদালতে একটি অভিযোগপত্র দাখিল করেন