লামা -সুয়ালক সড়কের বেহাল দশা,
মোঃ মেহেরাজ উদ্দিন মিন্টু , লামাঃ বান্দরবানের লামা -সুয়ালক সড়কের খানাখন্দে ভরে গেছে। এ কারণে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। এতে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে যানবাহন। খানাখন্দ থাকায় প্রতিনিয়ত দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে জনসাধারণের।
যোগাযোগের মাধ্যম রাস্তা দিয়ে পার্শ্ববর্তী উপজেলা ও অভ্যন্তরীণ সড়কে লোহাগাড়া, ডিগ্রি খোলা,চকরিয়া, লামা- গজালিয়া,জেলা শহর বান্দরবান ও লামার সরই ইউনিয়নের মানুষ উপজেলা সদরসহ জেলা সদর হয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে চলাচল করেন।
জানা যায়, লামা সুয়ালক রোডে কম্পোনিয়া হতে ১আধা কিলোমিটার পর থেকে টংগাঝিরি, ডাবল ব্রীজ, আন্দারি প্রায় সাড়ে ৪ কিলোমিটার সড়ক। এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন বাস, জীব, ট্রাক, সিএনজি অটোরিক্সা, মোটরসাইকেলসহ ব্যাটারী চালিত যানবাহন উপজেলা সদরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে চলাচল করে। কিন্তু সড়কটি কয়েক বছর ধরে নামে মাত্র সংস্কার করে দায়সারা কাজ করে এলজিইডি। টেকসই উন্নয়ন না হওয়ার কারনে প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে খানাখন্দে বেহাল অবস্থায় সৃষ্টি হয়েছে।
সরেজমিন দেখা গেছে, বৃহস্পতিবার (২০শে জুলাই) সড়কের বিভিন্ন স্থানে ঢালাই ওঠে পাথরের খোয়া,ইট ও বিভিন্ন অংশে পাহাড়ে মাটি উঠে কাঁদা হয়ে পিচ্ছিল হয়েছে। ফলে যানবাহন চলাচল অনুপযোগী হয়ে গেছে। মানুষ হেঁটে রাস্তা পারাপার করছে। দেখা যায় কতগুলো গাড়ি উল্টো ব্যাক হয়ে চলে গেছে। অবস্থা খুবই খারাপ হয়ে গেছে।
এতে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এতে করে বৃষ্টি হলেই গর্তের মধ্যে জমে থাকা পানিতে পড়ে ছোট ছোট যানবাহন ক্ষয়ক্ষতির শিকার হচ্ছে। যে কোন সময় দূর্ঘটনার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়াও কৃষকেরা তাদের উৎপাদিত পন্য যথা সময়ে বাজারজাত করতে পারছে না। পাশাপাশি অসুস্থ রোগীর চিকিৎসা নিতে কষ্ট হচ্ছে।
সিএনজি গাড়ি চালক,আলা উদ্দীন, সৈকতসহ কয়েকজন জানান, এ রাস্তা দিয়ে প্রতিনিয়তই গজালিয়া, লামা,সরই, লোহাগড়া লুলাইং, বান্দরবান টংগাবতিতে যাত্রী নিয়ে আসা যাওয়া করতে হয়। এখন রাস্তাটি ভাঙাচোরা ও খানাখন্দের কারণে চলাচল করা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। টানা বৃষ্টিতে উঁচু রাস্তায় ঢালুতে অনেক বেশি কাঁদায় যান চলাচল করা প্রায় অসম্ভব হয়ে গেছে৷ ফলে প্রায়ই দুর্ঘটনার কবলে পড়তে হচ্ছে। এছাড়া প্রায়ই তাদের যানবাহনের যন্ত্রাংশ বিকল হয়ে যাচ্ছে।
লামা উপজেলার সরই ইউনিয়নের বাসিন্দা যুবরাজ ত্রিপুরা,হাসিরাম,সুপিয়া ও মোঃ ইব্রাহীম জানান, গত কয়েক দিন হতে কয়েকটি জায়গায় আমাদের সড়কটির কাপেটিং উঠে গিয়ে খানাখন্দে বেহাল দশা হয়েছে। এটি সংস্কার করা জরুরি বলে জানান তারা।
স্থানীয় সরই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ ইদ্রিস কোং বলেন, প্রতি বছর বর্ষা আসলে রাস্তার খানাখন্দের সৃষ্টি হয়। গতবারও আমি ব্যক্তি গতভাবে সংস্কার করেছিলাম। এবারে আমার কিছু সীমাবদ্ধ রয়েছে। সরকারিভাবে দ্রুত সংস্কার করলে এলাকার জনসাধারণ উপকূল হবে।
লামা উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী মোহাম্মদ আবু হানিফ জানান, লামা -সুয়ালক সড়কে সংস্কারের জন্য টেন্ডার হয়েছে। বর্ষার জন্য ঠিকারদার কাজ শুরু করতে পারছে না৷