আমেরিকাসহ বিভিন্ন দেশের সিটিজেনশিপ কেড়ে নেয়ার আইন,
দৈনিক আমাদের দেশের খবর প্রতিদিন,ও আন্তজার্তিক মানবাধিকার প্রেস ক্লাব ও আন্তজার্তিক মানবাধিকার এর বিশেষ প্রতিনিধি:আমেরিকা থেকে হাকিকুল ইসলাম খোকন, এর বিশেষ সঠিক তথ্যের অনুসন্ধানের সঠিক তথ্যের নিউজ এর বিশেষ টিমের সদস্য সহ একটি বিশেষ প্রতিবেদন এর অংশ বিশেষ,
বাপসনিউজঃ কোনো দেশ কি তার নাগরিকদের সিটিজেনশিপ কেড়ে নিতে পারে? যদিও তা নেচারালাইজড হয়? প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি কয়েকজনের সিটিজেনশিপ প্রত্যাহার করে তাদের ডিপোর্ট করার হুমকি দিয়েছেন। এদের মধ্যে অন্যতম বিখ্যাত কমেডিয়ান রোজি ’ও ডোনেল, বিলিয়নায়ার অন্টারপ্রেনার ইলন মাস্ক, নিউইয়র্ক সিটির মেয়র প্রার্থী জোহরান মামদানি।
ওয়াশিংটন পোস্ট গত বুধবার এই বিষয়ে লিখছে, সম্প্রতি বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন দেশে সিটিজেনশিপ কেড়ে নেয়ার ঘটনা ঘটেছে। তারা তাদের দেশের জাতীয় নিরাপত্তা হুমকির সম্মুখীন হতে পারে এমন ব্যক্তির সিটিজেনশিপ প্রত্যাহার করে নিয়েছে।
ইমিগ্রেশন ও সিটিজেনশিপ বিষয়ক গবেষকদের বরাত দিয়ে ওয়াশিংটন পোস্ট বলছে, বেশির ভাগ ক্ষেত্রে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার জন্য সরকার এই আইনকে অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করে। জাতিসংঘ বলছে ‘ন্যাশনালিটি ইজ আ হিউম্যান রাইটস’।
ওয়াশিংটন পোস্ট বলছে ১৩২টি দেশে আইন আছে সেসব দেশের সরকার সিটিজেনশিপ কেড়ে নিতে পারে। তবে সম্প্রতিকালে কোন্ দেশ কতজনের সিটিজেনশিপ কেড়ে নিয়েছে তার হিসাব পাওয়া যায়নি। আমেরিকায় কেবলমাত্র নেচারালাইজড সিটিজেনদেরই সিটিজেনশিপ প্রত্যাহার করে নেয়া যায়। এই ক্ষেত্রে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ নয়, যদি কেউ মিথ্যা বা ভুয়া তথ্য দিয়ে ইমিগ্রেশনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে থাকে এবং পরে তা ধরা পড়ে তাহলে প্রদত্ত সিটিজেনশিপ নাকচ করা যেতে পারে। তবে বিষয়টি বেশ জটিল।
পোস্ট বলছে, ৭৯টি দেশে যদি কোনো নেচারালাইজড সিটিজেন সিরিয়াস ক্রাইম করে, তাহলে তার নেচারালাইজড সিটিজেনশিপ বাতিল হতে পারে। সম্প্রতিকালে, ২০২৩ সালে শামিমা বেগম নামের বৃটেনে জন্মগ্রহণকারী সিরিয়ার ইসলামিক স্টেটে যোগ দিলে তার মিটিজেনশিপ বাতিল করে বৃটেন। শামিমা বেগম আপিল করে হেরে যায়। তার পিতা—মাতা বাংলাদেশের সিটিজেন। কিন্তু বাংলাদেশ তাকে গ্রহণ করেনি।
ওয়াশিংটন পোস্ট বলছে বাহরাইন কয়েকশ ব্যক্তির সিটিজেনশিপ কেড়ে নিয়েছে ২০১২ সালে। ক্যানাডা ৪ জনের কেড়ে নিয়েছে ২০২৩ সালে। আমেরিকা ১৯৯০ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত ১১ ব্যক্তির সিটিজেনশিপকে ডিনেচারালাইজ করার জন্য মামলা করে। কিন্তু কতজনকে করা হয়েছে তার তথ্য দিতে পারেনি পোস্ট। ১৯৬৭ সালে সুপ্রিম কোর্ট যার সিটিজেনশিপ কেড়ে নেয়া হবে তার অনুমতি নিতে হবে বলে রায় দেয়।