খুলনা ফুলতলার পায়গ্রাম কসবায়, চোরের আধিপত্য বিস্তার, আবারো মোটরসাইকেল চুরি,
নিউজ:দৈনিক আমাদের দেশের খবর প্রতিদিন।
নিজস্ব প্রতিবেদক,
খুলনা ফুলতলার পায়গ্রাম কসবায় প্রতিদিনই চুরি সংগঠিত হচ্ছে, ইজিবাইক থেকে, ভ্যান, মোটরসাইকেল, গরু, ছাগল , বরজের পান,ও ও কলা, এবং সেই সাথে বৃদ্ধি পেয়েছে মোবাইল ব্যাংকিং এর প্রতারণা, ফেক আইডি খুলে ব্লাকমেইল, গভীর রাতে শুরু হয়, জ্বীনের বাদশার খেলা, আবার কখনো ঘটক সেজে মেয়ে পার করার খেলা, এই প্রতারককারী চক্র জনজীবন, বিপর্যস্ত করে তুলেছে, গত ৩/৪ দিন আগে ভ্যান চুরি করে পালাবার সময় হুরাইয়া নামের একজন চোর ভ্যান সহ ধরা খায়, তার বাড়ি, মনিরামপুর শেষ সীমানা জনতা তাকে আটক করে , এবং তারা জানতে পারেন, ভ্যানটি পায়গ্রাম কসবা থেকে চুরি করে নিয়ে যাচ্ছিল, চোর এবং ভ্যান সহ প্রকৃত মালিকদের হাতে তুলে দেন, এবং তার স্বীকারোক্তিতে উঠে আসে কয়টা ভ্যান চুরির কাহিনী প্রথমে নিয়েছে গিট্টু নামের একজনের ভ্যান, দক্ষিণপাড়া, তারপর নিয়েছে গাজী নাজমুলের ভ্যান, ও সুজন কাজীর ভ্যান সহ ধরা খেয়েছে, এবং চোর সিন্ডিকেটের প্রধানের নাম, সহ আরো কিছু জড়িতদের নাম উঠে আসে, সিন্ডিকেটের প্রধানের নাম, সৈয়দ ইসরাফিল হোসেন রাজু পায় গ্রাম কসবা, পিতা সৈয়দ আমজাদ হোসেন এবং সদস্য সন্টু রায় বারুইপাড়, চোরের স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দিতে বলেন, আমার সাথে, আরো একজন ছিল, ভ্যান ধরা খাওয়ার সময় দৌড়ে পালিয়েছে, তার সাথে মূল কন্টাক্ট করে আমরা কন্টাকে চুরি করি, একটি ভালো ভ্যান নিয়ে দিলে, আমাদের দুজনকে ১২ হাজার টাকা দেওয়া হয়, বাকি টাকা সিন্ডিকেটের প্রধান এবং দোকানদার নেয়, আমাদের খরচ বহন করে সে, সুজন কাজীর ভ্যান নেবার সময়, আমাদের মোটরসাইকেলে করে এনে দক্ষিণ দিহি বারুইপাড়া বাঁশঝাড়ে মন্দিরের ওখানে নামিয়ে দেয়, এক প্যাকেট বিস্কুট একটি মশার কয়েল কিনে দেন, দেখিয়ে দিয়ে চলে যান, তারপর চুরি করার পর মোবাইলে যোগাযোগ করা হয়, এর আগে যেটা নিয়েছিলাম সেটা ভালো ভ্যান নাজমুল গাজীর ভ্যান, এভাবে জবানবন্দি দিতে দেখা যায় জনগণের মাঝে, সিন্ডিকেটের প্রধান, ভুক্তভোগীদের হুমকির মুখে রাখে, এবং বলতে থাকে, লেখালেখি করছে যে তাকে সহ তোদেরকে কোর্টে নিয়ে যাব, আমাকে চিনিস, গত কয়েকদিন আগে, সিন্ডিকেটের প্রধানের ছেলে গ্রেপ্তার হন অভয়নগর ডিবির হাতে, সৈয়দ ইয়াসিন আরাফাত, মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে প্রতারণা করে টাকা আনার দায়ে, এখনো জেল হাজতে রয়েছেন, নাম না বলা সত্ গ্রামের একাধিক লোকে বলেন, স্বৈরাচারী সরকারের আমলে সমস্ত নেতাদের সঙ্গে তার ওঠাবসা ছিল তার জন্য তাকে কেহ কিছু বলতো না বহাল তড়িযাতে তার মোবাইল প্রতারণা ব্যাংকিং এর ব্যবসা জমজমাট ছিল, এবং ধরাছোঁয়ার বাইরে ছিল, মামলা হলেও, গ্রেপ্তার করা হতো না, এখনো কিছু দুষ্কৃতকারী জড়িত আছে কেউ তার বিরুদ্ধে মামলা করলে, তাকেই ফাঁসিয়ে দেয়া হয়, একাধিক মামলার আসামি, এবং চায়ের আড্ডাখানায়, কেহ জিজ্ঞাসা করিলে, সে বলতেন, মামলা-টামলা আমার কাছে কিছুই না, ভাত মাছ, খেয়ে ফেলি, সব মামলায় হাজিরা দি গ্রেপ্তার হয় না , গ্রামের অনেকে হতবাক, এর খুঁটির জোর কোথায়, নিজেকে সে পাহাড়, ডিআইজির শালা, আবার কোন মন্ত্রীর মেয়ের বিয়ে দিয়েছে বলে প্রচার করতে থাকে আবারো কখনো জর্জ সাহেবের শালা, সৈয়দ ফয়সাল হোসেন অন্তরের, মোটরসাইকেল তো বাইরে থেকে নিতে আসতে সাহস পাই না, অবশ্যই গ্রামের খোঁজখবর না থাকলে সম্ভব নয়, প্রশাসনের নিকট গ্রামবাসীর আকুল আবেদন চোর সিন্ডিকেটকে গ্রেপ্তার সহ, তাকে সাহায্যকারীদের খুঁজে বের করুন, গ্রামের হাজার হাজার ফ্যামিলি সর্বস্বান্ত করার, মূল হোতাকে গ্রেপ্তারের আওতায় আনতে হবে,