1. news@www.dainikamaderdesherkhobor.online : দৈনিক আমাদের দেশের খবর : দৈনিক আমাদের দেশের খবর
  2. info@www.dainikamaderdesherkhobor.online : দৈনিক আমাদের দেশের খবর :
সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৪:০৮ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
স্বৈরাচারী সরকারের পালিত প্রতারকের, মিথ্যা মামলার নির্যাতন, হত্যা মামলার আসামী স্বদেশ ও ওসমান বাহিনীর সহযোগী রাহামনি প্রকাশ্যে খুলনা খানজাহান আলী থানা লাটেক্স পিছনে  অজ্ঞাতনামা যুবকের লা/শ উদ্ধার. কয়রায় ধান ক্ষেতে বিদ্যুৎস্পর্শে যুবকের মর্মান্তিক মৃত্যু: খুলনা ফুলতলা রেলওয়ে স্টেশন চত্বর বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামি বিশাল ভোটার সমাবেশ, খুলনা ২ নং কাস্টমস ঘাটে ঘরে ঢুকে যুবকের মাথায় গুলি, খুলনা ২ নং কাস্টমস ঘাটে ঘরে ঢুকে যুবকের মাথায় গুলি, পিআর পদ্ধতির নির্বাচনসহ ৫ দাবিতে খুলনায় ইসলামী আন্দোলনের মানববন্ধন, এইচএসসিতে কোয়ান্টাম কসমো স্কুল অ্যান্ড কলেজে শতভাগ পাশ, লামায় বেসরকারি ক্লিনিক ও ফার্মেসিতে অভিযান, অর্থদন্ড

রাজশাহীতে নিষিদ্ধ কীটনাশক বিক্রির অভিযোগ,

  • প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৫ আগস্ট, ২০২৫
  • ৬২ বার পড়া হয়েছে

রাজশাহীতে নিষিদ্ধ কীটনাশক বিক্রির অভিযোগ,

নিউজ, দৈনিক আমাদের দেশের খবর প্রতিদিন,
মো: গোলাম কিবরিয়াথ
রাজশাহীর জেলা প্রতিনিধি

রাজশাহীর বিভিন্ন কীটনাশকের দোকানে অবাধে বিক্রি হচ্ছে সরকার কর্তৃক নিষিদ্ধ ও বিপজ্জনক বালাইনাশক ওষুধ। এসব ওষুধ ব্যবহারের ফলে কৃষক ও সাধারণ ব্যবহারকারীরা সরাসরি স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ছেন। কিন্তু প্রশাসনের পক্ষ থেকে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেই বলেই অভিযোগ গবেষণা সংশ্লিষ্টদের।

সম্প্রতি বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ রিসোর্স সেন্টার ফর ইন্ডিজিনাস নলেজ (বারসিক) পরিচালিত একটি অনুসন্ধানমূলক মাঠসমীক্ষায় উঠে এসেছে এই ভয়াবহ চিত্র। ‘জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশের ওপর কীটনাশকের ক্ষতিকর প্রভাব’ শীর্ষক এই গবেষণাটি রাজশাহীর আটটি উপজেলার ১৯টি কৃষিপ্রধান গ্রামে করা হয়।

সমীক্ষায় দেখা গেছে, নিষিদ্ধ ওষুধ ব্যবহারে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন অন্তত ৬৮ শতাংশ ব্যবহারকারী। আরও উদ্বেগজনক তথ্য হলো, ৯৩.৩৭ শতাংশ ব্যবহারকারী জানেনই না যে তারা যেসব কীটনাশক ব্যবহার করছেন তা নিষিদ্ধ এবং মানবদেহ ও পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।

গবেষণায় উঠে আসে, অধিকাংশ দোকানে এসব ওষুধ বিক্রি করা হচ্ছে মোড়ক পরিবর্তন করে, ফলে সাধারণ ক্রেতারা বুঝতেই পারছেন না ওষুধটি নিষিদ্ধ কি না। গবেষণা অনুযায়ী, এসব দোকানের ৯৯ শতাংশেই নিয়মিত বিক্রি হচ্ছে এসব বিষাক্ত পণ্য।

সমীক্ষায় দেশ-বিদেশে নিষিদ্ধ এমন বেশ কয়েকটি কীটনাশকের নামও উল্লেখ করা হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে: জিরো হার্ব-২০ এসএল (প্যারাকোয়াট), ফুরাডান ৫জি (কার্বারাইল), এরোক্সান-২০ এসএল (প্যারাকোয়াট), গ্যাস ট্যাবলেট (অ্যালুমিনিয়াম ফসফাইড), কার্বোফোরান-৩ জিএসআই (কার্বোফোরান), ইঁদুর মারার বিষ (ব্রোডিফ্যাকোয়াম), তালাফ-২০ এসএল (প্যারাকোয়াট)

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এসব নিষিদ্ধ ওষুধের মধ্যে সবচেয়ে বিপজ্জনক হলো প্যারাকোয়াট। এটি আগাছা দমনে ব্যবহৃত হলেও মানবদেহে প্রবেশ করলে কিডনি বিকল-সহ মারাত্মক অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের ক্ষতি করে। আত্মহত্যার ক্ষেত্রেও এই বিষ ব্যবহারের প্রবণতা বাড়ছে।

রাজশাহীর একটি রেঁস্তোরায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে গবেষণার ফলাফল উপস্থাপন করেন বারসিকের আঞ্চলিক সমন্বয়ক শহিদুল ইসলাম। তিনি বলেন, নিষিদ্ধ ওষুধ ব্যবহারের ফলে শুধু কৃষক নয়, জনস্বাস্থ্য, পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যও হুমকির মুখে পড়ছে।

বারসিকের নির্বাহী পরিচালক পাভেল পার্থ বলেন, আমি নিজেও রাজশাহীর বিভিন্ন দোকান থেকে বেশকিছু নিষিদ্ধ কীটনাশক কিনেছি এবং তার রসিদও আমার কাছে রয়েছে। এটি একটি ফৌজদারি অপরাধ। প্রশাসনের উচিত দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

তিনি কীটনাশক বিক্রয় ও ব্যবহার সংক্রান্ত আইন কঠোরভাবে প্রয়োগ, কীটনাশক-সম্পর্কিত স্বাস্থ্যঝুঁকি রেজিস্ট্রার চালু এবং ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য একটি ক্ষতিপূরণ তহবিল গঠনের সুপারিশ করেন।

রাজশাহী বিভাগীয় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক ড. মো. আজিজুর রহমান বারসিকের গবেষণা প্রতিবেদন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, নিষিদ্ধ কীটনাশক বিক্রির বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে নিয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট