খুলনা জেলায় ৪ মাসে পুরো সক্রিয় হয়নি পুলিশ সন্ত্রাসীরা বেপরোয়া
-
প্রকাশিত:
বুধবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০২৪
-
৯৮
বার পড়া হয়েছে

- খুলনা জেলায় ৪ মাসে পুরো সক্রিয় হয়নি পুলিশ সন্ত্রাসীরা বেপরোয়া, খুলনা বিভাগের বূরো চিফ -শেখ শহিদুল ইসলাম. রাজনৈতিক পথ। পরিবর্তনের চার মাস পেরিয়ে গেলেও খুলনায় পুরোপুরি সক্রিয় হয়নি পুলিশ, আগের মত দেখা যাচ্ছে না টহল ও অভিযান, এই সুযোগে সন্ত্রাসীরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে, প্রায় প্রতি রাতে কোথাও না কোথাও চলছে সন্ত্রাসীদের মহড়া, গুলি করে কিংবা কুপিয়ে কথা হাতের ঘটনাও ঘটছে, গত ৯ ডিসেম্বর জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সঙ্গে মতবিনিময় সভায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একাধিক নেতা নগরীর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির জন্য ক্ষোভ,প্রকাশ করেন, তারা বলেন চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও অস্ত্রধারীরা প্রকাশ্য ঘুরে বেড়াচ্ছে, অস্ত্র নিয়ে মহড়া দিচ্ছে, মাদক বিক্রি বেড়েছে কিন্তু পুলিশ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে না, এ নিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নিজেও খুব প্রকাশ করে, পুলিশ কর্মকর্তাদের আরো সক্রিয় হওয়ার নির্দেশনা দেন নগরীর পাড়া এলাকায় গত ২৯ শে নভেম্বর রাতে সন্ত্রাসীরা এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে, এর পরে তারা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ৩০ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক যুদ্ধ আহ্বায়ক আমিন মোল্লা বোয়িং কে গুরুতর আহত করে, চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৪ই ডিসেম্বর তার মৃত্যু হয়, এ ঘটনায় আশিক বাহিনীর প্রধান আশিক তার ভাই সজীব সহ ৯,জনের নাম উল্লেখ করে খুলনা সদর থানায় মামলা করেন নিহতের ছোট ভাই মোঃ আব্দুল্লাহ, কিন্তু তাদের কাউকে গ্রেফতার করতে পারিনি পুলিশ, নিহতের ভাতিজা ও ৩০ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি সালাউদ্দিন মোল্লা বুলবুল বলেন, শত শত মানুষের সামনে সন্ত্রাসীরা গুলি করে ক্লাস সৃষ্টি করে, কুপিয়ে চলে গেল মামলা হল। অথচ পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করতে পারলো না, গত দুই ডিসেম্বর সন্ধ্যায় ডুমুরিয়া উপজেলার সড়কপুর বাজারে সন্ত্রাসীদের গুলিতে যদি বিক্রেতা গুলিবিদ্ধ হন তিন ডিসেম্বর রাত আটটার দিকে নগরীর নিরালা এলাকায় ১০-১৫টি মোটরসাইকেলে এসে একদল সন্ত্রাসী এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়ে এতে ব্রতচারী ইউনুস শেখ বলে বৃদ্ধ হন, এরপর সন্ত্রাসীরা চানমারি এলাকায় গিয়ে কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ে, এছাড়া ওই এলাকায় আব্দুল আহমেদ হাওলাদার নামে এক যুবককে কুপিয়ে আহত করে ৬ ডিসেম্বর বিকেলে রূপসা উপজেলার বাগমারা গ্রামে সন্ত্রাসীদের গুলিতে ইমরান হোসেন মানিক নামে এক যুবক আহত হন, এর আগে দুই নভেম্বর রাতে নগরীর আল কাতরা মিল এলাকায় সন্ত্রাসীরা একই রাতে নগরীর বাবু কাম রোডে সন্ত্রাসীরা কুপিয়ে জেলা যুবদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক হাবিবুর রহমান বেলায়েতকে আহত করে নগরীর পশুপাড়া এলাকায় গত ৫ই নভেম্বর রাতে সন্ত্রাসীরা রফিকুল ইসলাম মুক্তা নামে এক ব্যবসায়ীকে গুলি করে হত্যার চেষ্টা করে গত ২৮ শে অক্টোবর দুপুরে সন্ত্রাসীরা গুলি করে ও বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নগরীর দৌলতপুর থানার কালিবাড়ি বাজারে দত্ত জুয়েলার্স ডাকাতি করে, তারা জুয়েলার্স থেকে স্বর্ণালংকার ও নগদ দুই লাখ টাকা লুট করে পালিয়ে যায়, গত একুশে অক্টোবর রাতে কয়রা উপজেলার কাটাখালি গ্রামে পুলিশের উপর হামলা করে দুর্বৃত্তরা অপহরণ মামলার আসামি হারুন গাজীকে ছিনিয়ে নেয়, তাদের হামলায় পাঁচ পুলিশ সদস্য আহত হন গত তিন মাসে জেলা ও নগরীতে আটটি হত্যাকাণ্ড ঘটেছে, মোটরসাইকেলে সন্ত্রাসীদের মহড়ার ঘটনাও ঘটেছে ১০-১১ টি নগরবাসীর অভিযোগ নগরীতে আগের মত পুলিশের টহল ও অভিযান দেখা যাচ্ছে না, এছাড়া কারাগারে ঢাকা বেশ কয়েকজন সন্ত্রাসী জামিনে বেরিয়ে এসেছে, পালিয়ে থাকা সন্ত্রাসীরা এলাকায় ফিরেছে, সক্রিয় হয়ে উঠেছে তিন চারটি কিশোর জ্ঞান স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় নগরীর জিন্নাহ করা মোল্লাপাড়া লবণ চোরা ও শিপাইয়াড এলাকার কয়েকজন ব্যবসায়ীর কাছে চাঁদা দাবির করেছে সন্ত্রাসীরা, মাদক বেচাকেনা ও বেড়েছে, এ এছাড়া আগে বড় কোন ঘটনা ঘটলে পুলিশের যে তৎপরতা বা অভিযান থাকতো তা ঝিমিয়ে পড়েছে, সেই সুযোগ কাজে লাগাচ্ছে সন্ত্রাসীরা, তাদের মধ্য এখনও আগের মত ভয় নেই, এর ফলে অস্ত্রের মহড়া ও হত্যাকান্ড বেড়েছে মানুষ নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে রয়েছে মহানগর বিএনপির গত ১৬ ই নভেম্বর সংবাদ সম্মেলনে নগরীর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে, সংবাদ সম্মেলনে বলা হয় পুলিশ কাজে ফিরলেও তাদের আচরণ ও ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ ফলে নগরীরতে চুরি ডাকাতি বেড়েছে মহানগর বিএনপি’র সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন বলেন নগরীতে পুলিশ সন্ত্রাসী কর্মকান্ড নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি, বিএনপি’র একজন নেতা কে সন্ত্রাসীরা হত্যা করেছে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নতির জন্য পুলিশের আরও সক্রিয় হওয়া দরকার তবে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার ( দক্ষিণ) শেখ মনিরুজ্জামান মিঠু বলেন মূলত মাদক বেচাকেনা চক্রান্ত বিরোধ এবং এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে এসব ঘটনা ঘটছে, সন্ত্রাসীদের তৎপরতা বেড়েছে তা ঠিক কিন্তু পুলিশের তৎপরতা মোটেও ঝিমিয়ে পড়েনি, আমরা নিয়মিত চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি চালাচ্ছি, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অস্ত্রধারীদের ধরতে অভিযান পরিচালনা করছি টহল কার্যক্রম ও অব্যাহত হয়ে রয়েছে,
সংবাদটি শেয়ার করুন
আরো সংবাদ পড়ুন