নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে জমি-সংক্রান্ত বিরোধের জেরে মিলন হাজি নামে এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে গুলিবর্ষণ ও হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় রায়হান কবির সুমন নামে এক যুবলীগ নেতাকে আটকের পর পুলিশ টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার তারাব পৌরসভার খাদুন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী মিলন হাজি বাদী হয়ে রূপগঞ্জ থানায় অভিযোগ করেছেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে মুড়াপাড়া মঠেরঘাট এলাকায় রূপগঞ্জ প্রেস ক্লাবে সংবাদ নিউজ দৈনিক আমাদের দেশের খবর -মাহবুব হাসান স্বাধীন এর অনুসন্ধানে সিনিয়র সাংবাদিক ও বিভিন্ন ধরনের গণমাধ্যমের যুক্ত মাহবুব হাসান স্বাধীন তাহার অনুসন্ধানের টিম ক্রিইম সিমের টিম কে আগে ও সতর্কতা করা জন্য নিউজ করেন এর জন্য তাহার উপর ও তাহার টিমের উপর হুমকির মুখে, সম্মেলনে ভুক্তভোগীরা এ অভিযোগ জানান।মিলন হাজি বলেন, তিনি খাদুন এলাকায় সাড়ে ৭ শতাংশ জমিতে দোতলা বাড়ি নির্মাণ করে ভোগদখলে আছেন। স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা জাহাঙ্গীর কবির ভূঁইয়া, যুবলীগ নেতা রায়হান কবির ভূঁইয়া, সুমন মিয়া বেশ কিছুদিন ধরে আমার জমি জোরপূর্বক দখলের পাঁয়তারা করে আসছিল। বুধবার সন্ধ্যায় ওই আওয়ামী লীগ নেতারাসহ ১৫ থেকে ২০ জন পিস্তল, রামদা, চাপাতিসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আমার বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর চালাতে থাকে। পরে হামলাকারীরা বাড়িতে কয়েক রাউন্ড গুলিবর্ষণ করে চলে যায়। স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দিলে রূপগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কামরুল ইসলামসহ পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। হামলাকারীরা চলে যাওয়ার সময় যুবলীগ নেতা রায়হান কবির সুমনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে এলাকাবাসী। পরে রাত ১০টার দিকে এসআই কামরুলসহ পুলিশ মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে যুবলীগ নেতা সুমনকে ছেড়ে দেন। এ খবর ছড়িয়ে পড়ার পর স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। স্থানীয়রা পুলিশের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।এ ব্যাপারে অভিযুক্ত রায়হান কবির সুমনের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলেও তার ব্যবহৃত ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।এ ব্যাপারে রূপগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক কামরুল ইসলাম বলেন, টাকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। রায়হান কবির সুমন ৯৯৯ এ কল করেন। আমি তাকে উদ্ধার করতে গিয়েছিলাম। তিনি কোনো আসামি নন।রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিয়াকত আলীর সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোনটি রিসিভ করেননি।
সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) ‘গ’ সার্কেল মেহেদী ইসলাম বলেন, আসামি ছাড়ার অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট।