খুলনা সদর থানার ওসিকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে অপসারণ না করলে সদর দপ্তর ঘেরাও করবে বিএনপি! শেখ শহিদুল ইসলাম মিঠু ব্যূরো প্রধান খুলনা! আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নতিতে ব্যর্থ হওয়ায় খুলনা মহানগরীর সকল থানার ওসিকে (অফিসার্স ইনচার্জ) অবিলম্বে অপসারণ দাবি করেছে খুলনা বিএনপি, বিশেষ করে খুলনা থানা এলাকার আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি চরম অবনতি হওয়ায় ২৪ ঘন্টার মধ্যে সদর থানার ওসি মুনীর উল গিয়াসকে অপসারণের দাবি জানানো হয়, অন্যথায় খুলনা জেলা প্রশাসক ও মেট্রোপলিটন পুলিশের সদর দপ্তর ঘেরাও কর্মসূচি সহ খুলনা অচল কর্মসূচি ঘোষণার হুমকি দেওয়া হয়েছে, বুধবার ( ২২ জানুয়ারি) বেলা ১১. টায় কেডি ঘোষ রোডস্থ বিএনপি কার্যালয়ের সামনের সড়কে খুলনা মহানগরীতে আইন শৃঙ্খলার চরম অবনতি, ৩০নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা আমির হোসেন বোয়িং মোল্লা ও ২১ নং ওয়ার্ড যুবদলের সহ-সভাপতি মানিক হাওলাদার হত্যাকাণ্ড২৮ নং ওয়ার্ড সেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক মোঃ শাহিন ও ছাত্রদল কর্মী নওফেলের উপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদ মহানগর ও জেলা বিএনপি প্রতিবাদী বিক্ষোভ সমাবেশে এ দাবি করেন, বক্তারা বলেন, গত পাঁচ মাসে পুলিশ প্রশাসনের নির্লিপ্ত তায় খুলনার আইন- শৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি ঘটেছে, একের পর এক হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হচ্ছে বিএনপির দুজন সহ,গত চার মাসে মহানগরীতে ১০,টি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে, কিন্তু পুলিশ প্রশাসন অপরাধীদের গ্রেপ্তারে সম্পূর্ণ ব্যর্থ, এছাড়া মাদক ব্যবসা বন্ধ, বিভিন্ন মামলার আসামিদের গ্রেপ্তার, খুন জখম ,ডাকাতি, ছিনতাই ,সহ বিভিন্ন অপরাধ প্রবণতা বৃদ্ধি পেলেও পুলিশ অপরাধীদের গ্রেফতার করছে না, পুলিশের সাথে সখ্যতা করে অপরাধীরা নগরীতে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে, যাতে করে নগরবাসী চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন, আইন শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব থেকে শৃঙ্খলা রক্ষায় ব্যর্থ কর্মকর্তাদের দায়িত্বে থাকার কোন অধিকার নেই, মহানগর বিএনপি’র আহ্বায়ক এন্ড শফিকুল আলম মনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সমাবেশ মহানগরীর আইন শৃঙ্খলা অবনতিতে গভীর উদ্বেগ ও খোব প্রকাশ করে বক্তারা আরো বলেন, খুলনার হলিতে গলিতে মাদকে সয় লাব হয়ে গেছে কিন্তু পুলিশ এ অপরাধ দমনে কার্যকর কোন ভূমিকা রাখছে না,৩০,নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা আমিন মোল্লা বোয়িং ২১,নং ওয়ার্ড যুবদলের সহ-সভাপতি মানিক হাওলাদারকে হত্যা করা হয়েছে, কিন্তু হত্যাকারীরা ধরা পড়েনি, মানিক নিহত হওয়ার আগে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিল, কিন্তু পুলিশ কোন ব্যবস্থা নেয়নি পরে, ৯৯৯ নম্বরে ফোন দেওয়ার পর পুলিশ মামলা নেয় পরবর্তীতে একজনকে আটক করা হলেও অজ্ঞাত কারণে ছেড়ে দেওয়া হয়, ওই সন্ত্রাসীকে ছেড়ে দেওয়া না হলে আজ মানিক হত্যাকাণ্ড ঘটতো না, বক্তারা বলেন, পুলিশ অপরাধীদের গ্রেপ্তার না করে বিশেষ একটি রাজনৈতিক দলের সাথে গোপন বৈঠক করেছেন, বিএনপি অফিস ভাঙচুর মামলার আসামিরা প্রকাশ্য ঘুরে বেড়ালেও তাদেরকে গ্রেফতার করা হচ্ছে না, নগরীর রাজনৈতিক ব্যবসায়ী সাংবাদিকরা চরম নিরাপত্তায় রয়েছে, বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান মন্টু, মহানগর বিএনপি’র সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন, স,ম আ, রহমান, অ্যাড নুরুল হাসান রুবা খান জুলফিকার আলী জুলু, কাজী মাহমুদ আলী, শের আলম সান্টু, আবুল কালাম জিয়া, বদরুল আলম খান, তৈমুর রহমান, মাহাবুর হাসান, শেখ আবুল বাশার মোস্তাফিজুর রহমান বাবু, শেখ সিরাজুল ইসলাম মিন্টু, কাজী টিটু, খন্দকার মুরাদুল ইসলাম মোল্লা আজিমুল, কবির হোসেন টিটু, শহীদুজ্জামান জুয়েল মিজানুর রহমান আসাদুজ্জামান মনির আব্দুর রাজ্জাক মোহাম্মদ বিল্লাল মোঃ তাফসির হোসেন মোঃ রইছ উদ্দিন শেখ আনোয়ার হোসেন, আরো অনেকে, সমাবেশ শেষে দলীয় কার্যালয় থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু পিসি রায়রোড যশোর রোড ফেরিঘাট ঘুরে স্যার ইকবাল রোড হয়ে দলীয় কার্যালয় গিয়ে শেষ হয়, ওই সময় পুলিশ প্রশাসনের ব্যর্থতা ও অপসারণ নিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দেয় নেতাকর্মীরা