
খুলনায় জুলাই শহিদ দিবস উপলক্ষ্যে শহিদ স্মরণে আলোচনা ও দোয়া অনুষ্ঠিত,
নিউজ,দৈনিক আমাদের দেশের খবর প্রতিদিন,নিউজ বিশেষ, প্রতিনিধি;
আতিকুর রহমান(বাবু)।
ফুলতলা উপজেলা পরিষদের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাসনীম জাহান এর পরিচালনায় ও উপস্থাপনায় আজ সকাল ১১:৩০ ঘটিকার সময় উপজেলা মিলনায়তনে জুলাই শহিদ দিবস উপলক্ষ্যে শহিদ স্মরণে আলোচনা ও দোয়া মহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
সভার শুরুতেই নির্বাহী কর্মকর্তা তাসনীম জাহান বলেন, ছাত্রদের মাধ্যমেই এই আন্দোলনের সূত্রপাত হয়েছিলো, এছাড়াও বিভিন্ন শ্রেণি, পেশা ও বয়সের মানুষ ও এই আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছে আত্মত্যাগ করেছে। অনেকে শহিদ হয়েছে, অনেকে হয়েছে আহত। আমরা তাদের সকলের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছি।
উপস্থিত এনসিপি নেতারা বলেন, জুলাই শুধু সংস্কার নয়, অধিকার বাস্তবায়নের একটি লড়াই ছিল। এখানে ছিল না স্বাধীন মত প্রকাশের সামাজিক ও রাজনীতি অবস্থান। জুলাই অভ্যুত্থান ছাত্র-জনতার রক্তের আত্মত্যাগের মাধ্যমে সেটাকে বাস্তবায়ন করেছে। এবং তারা যে আত্মত্যাগটা করে গেছে তার মর্যাদা যেন অক্ষুণ্ন থাকে তার প্রতি সকলকে অনুরোধ জ্ঞাপন করেন।
সভায় উপস্থিত উপজেলার বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাগণ সহ রাজনৈতিক ও সাংবাদিকেরা বলেন, বাঙালির ইতিহাস সংগ্রামের ইতিহাস, বাঙালির ইতিহাস অর্জনের ইতিহাস। ৪৭ শে ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন, ৫২ ভাষা আন্দোলন ও ৭১ এ ভূখণ্ড রক্ষার আন্দোলন সহ ২৪ শে ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলন সবটাই বাঙালির গৌরবময় অর্জন। বিগত ফ্যাসিবাদ সরকার নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসলেও তারা অত্যাচার, দুর্নীতি ও নিপীড়নের কারণে জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন যার ফলশ্রুতিতে তাদেরকে ছাত্র-জনতা গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে উৎখাত ও বিতাড়িত করা হয়। স্বাধীনতার এই নতুন সূর্যকে গতিমান ও আলোকিত করতে গঠন হয় নতুন সরকার, কিন্তু এতো কিছুর পরেও রয়ে গেছে সেই দলীয়করণ, চাঁদাবাজি ও হত্যার রাজনীতি। নেই মানুষের কোনো নিরাপত্তা। যে সমস্ত বিপ্লবী ভাইয়েরা পুলিশ ও ফ্যাসিবাদিদের বুলেট ও রক্ত চক্ষুকে উপেক্ষা করে শহিদ হয়েছে, রয়েছে এখনো আহত অবস্থায়, করছে দুর্বিষহ জীবনযাপন তাদের প্রাপ্তিটা কোথায়।
আন্দোলনরত পরিস্থিতিতে মাঠে সকলের সাথে থেকে সার্বিকভাবে সহযোগিতা, বিচক্ষণতার সহিত সম্পূর্ণ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও নিরাপত্তা প্রদান করার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাসনীম জাহানকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন উপস্থিত সাংবাদিক মহল। তারা আরো বলেন, ইউএনও মহোদয়ের কারণেই বড় রকমের কোনো অঘটন ছাড়াই শান্তিপূর্ণভাবে ছাত্র-জনতার এই আন্দোলন সফলতা লাভ করে। তবে দুর্নীতি ও চাঁদাবাজিঁ এখনো চলমান। শহিদদের ও অসুস্থ বিপ্লবীদের পরিবারের প্রতি সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করেন।
যেজন্য জুলাই আন্দোলন, যে কারণে ছাত্র-জনতা তাদের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়ে বাঙলাকে নতুন করে স্বাধীন করেছে তাদের সেই উদ্দেশ্য আমরা সাধন করতে পেরেছি বলে আমাদের মনে হয় না। বিপ্লবীদের রক্তমাখা পথ ধরে এগিয়ে গিয়ে আমরা যাতে তাদের উদ্দেশ্য সফল করতে পারি তার জন্য সকলের সহযোগিতা কামনা ও আহত ও বিপ্লবী শহিদদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়ার মাধ্যমে অনুষ্ঠানটির সমাপ্তি করা হয়।